রাশিয়া ভ্রমণ অভিজ্ঞতা: একটি অসাধারণ যাত্রা

প্রতিবছর বিশ্বের প্রায় ১৬ লাখ টুরিস্ট রাশিয়া ভ্রমণে আসেন। এ কেমন একটি রাশিয়া ভ্রমণ অভিজ্ঞতা হতে পারে, তা জানার জন্য আমার মনে হয় আপনারা উৎসুক। আমি এই বিশ্বাস করি যে, রাশিয়া ভ্রমণ একটি অসাধারণ যাত্রা হতে পারে, যার অভিজ্ঞতা আপনি কখনও ভুলতে পারবেন না।

Table of Contents

মূল বিষয়বস্তু

  • রাশিয়া ভ্রমণের একটি বিস্ময়কর অভিজ্ঞতা
  • মস্কো, সেন্ট পিটার্সবার্গ, ক্রেমলিন ও রেড স্কয়ার দর্শন
  • ট্রান্স-সাইবেরিয়ান রেলপথে অভিযাত্রা
  • রাশীয় সংস্কৃতি ও খাদ্য অন্বেষণ
  • কাজান: রাশিয়ার মুসলিম অঞ্চলের পরিদর্শন

মস্কোতে অভিষেক

আমার মস্কো সফরের প্রথম ঘণ্টাগুলি এক অভিষেকের মতো। শহরের বিশালতা ও সমৃদ্ধিতে বিস্মিত হয়ে পড়ি আমি। মস্কো বিমানবন্দরটি ব্যস্ততায় ভরপুর হলেও আমার জন্য সেখানে একমাত্র ফ্লাইটটি এসেছিল সকাল সাড়ে ছয়টায়। ইমিগ্রেশানকাস্টমস বিভাগ পার করার পর, একজন গাইড সারগেই স্ট্রোকান আমার কাছে এসে পরিচয় নিলেন। তিনি আমাকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলেন যে তিনি আমার জন্য এসেছেন।

টার্মিনালের সৌন্দর্য ও ব্যস্ততা

মস্কো বিমানবন্দরের টার্মিনাল খুব বিশাল এবং সৌন্দর্যময়। এত সকালেই একের পর এক যাত্রীরা ভিড় করছে, যেন শহর কখনই স্তব্ধ হয় না। আর্কিটেকচারাল চমৎকারিত্বে মুগ্ধ হয়ে আমি শ্বাস রোধ করে দাঁড়িয়ে থাকি।

বিষয়বিবরণ
মস্কো বিমানবন্দরের অবস্থানশহরের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে, জুকভোস্কি রাস্তায়
বিমানবন্দরের আকারবিশাল ও ব্যস্ত
যাত্রী ট্রাফিকপ্রায়শই ভিড়, বিশেষত সকালে

গাইড সারগেই আমাকে বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পথ দেখিয়ে দিলেন এবং শহর সফরের প্রস্তুতি নিতে সহযোগিতা করলেন। তাঁর সহযোগিতা আর মধুর ব্যবহারে আমি মস্কো সফরের প্রথম শুরুতে সেই যেন অভিষেকই অনুভব করলাম

সেন্ট পিটার্সবার্গের মায়াবী সৌন্দর্য

রাশিয়ায় ভ্রমণের সময় সেন্ট পিটার্সবার্গ একটি অবশ্যই দর্শনীয় স্থান। এই ঐতিহাসিক শহর তার প্রাচীন ইমারতগুলো এবং মায়াবী প্রাকৃতিক দৃশ্য দিয়ে পরিচিত। সেন্ট পিটার্সবার্গে রয়েছে বহুবিধ ঐতিহাসিক স্মারক ও আধুনিক স্থাপত্য যা তার অনন্য সৌন্দর্য তৈরি করে।

সেন্ট পিটার্সবার্গের কিছু দর্শনীয় স্থান হলো:

  • হার্মিটেজ ম্যুজিয়াম: বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও প্রধান ম্যুজিয়াম, যা বিশাল সাম্রাজ্যিক সংগ্রহশালা হিসেবে পরিচিত।
  • সেন্ট আইসাক কাথেড্রাল: প্রাচীন রূপালী গম্বুজযুক্ত এই কাথেড্রাল সেন্ট পিটার্সবার্গের প্রধান প্রতীক।
  • সামার গার্ডেন: সুন্দর পার্ক ও ফাউন্টেনগুলির সমষ্টি যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফাউন্টেনের একটি।

সেন্ট পিটার্সবার্গ শহর ইউরোপীয় স্থাপত্যের একটি মাস্টারপিস। এর রাজপথ, নদী, ব্রিজ ও ঐতিহাসিক ধারণ এই শহরকে আকর্ষণীয় বানিয়েছে। সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরের মায়াবী সৌন্দর্য দেখার জন্য প্রত্যেক প্রবাসী এই শহর ভ্রমণ করার স্বপ্ন দেখে।

প্রধান আকর্ষণসমূহবিবরণ
হার্মিটেজ ম্যুজিয়ামবিশ্বের সবচেয়ে বড় ও প্রধান ম্যুজিয়াম, যা বিশাল সাম্রাজ্যিক সংগ্রহশালা হিসেবে পরিচিত।
সেন্ট আইসাক কাথেড্রালপ্রাচীন রূপালী গম্বুজযুক্ত এই কাথেড্রাল সেন্ট পিটার্সবার্গের প্রধান প্রতীক।
সামার গার্ডেনসুন্দর পার্ক ও ফাউন্টেনগুলির সমষ্টি যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফাউন্টেনের একটি।

ক্রেমলিন এবং রেড স্কয়ার

মস্কো শহরের কেন্দ্রীয় আকর্ষণ হল ক্রেমলিন এবং রেড স্কয়ার। ক্রেমলিন একটি প্রাচীন অঙ্গন এবং রাশিয়ার প্রধান সরকারি প্রাসাদ। এখানে জাদুঘর, প্রদর্শনী হল এবং অন্যান্য দর্শনীয় স্থান রয়েছে।

রেড স্কয়ার হল মস্কোর একটি জনপ্রিয় স্থান। এটি একটি বিশাল চত্বর যা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থাপনা এবং সংস্কৃতির কেন্দ্র। এখানে লেনিন মসজিদ, লেনিন স্মৃতি স্তম্ভ এবং একটি বড় ঘড়ি রয়েছে।

ক্রেমলিন ও রেড স্কয়ার দর্শন

ক্রেমলিন ও রেড স্কয়ার দর্শন রাশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় আকর্ষণগুলির মধ্যে একটি। এই দুটি স্থান একটি অফিসিয়াল সরকারি কমপ্লেক্স হিসাবে পরিচিত। এখানে রাশিয়ার সংস্কৃতি এবং ঐতিহাসিক অধ্যয়ন করা যায়।

অবস্থানদর্শনীয় স্থানপ্রধান আকর্ষণ
ক্রেমলিনজাদুঘর, প্রদর্শনী হল, প্রাসাদরাশিয়ার প্রধান সরকারি প্রাসাদ
রেড স্কয়ারবিশ্বপ্রসিদ্ধ লেনিন মসজিদ, লেনিন স্মৃতি স্তম্ভ, বড় ঘড়িমস্কোর অন্যতম প্রধান জনপ্রিয় স্থান

ক্রেমলিন ও রেড স্কয়ার মস্কোর প্রাচীনতম ঐতিহাসিক স্থাপনা হিসাবে পরিচিত। এই দুটি স্থান রাশিয়ার অতীত ও বর্তমানের একটি চমৎকার প্রতীক। পর্যটকদের জন্য এটি একটি অপরিহার্য অভিজ্ঞতা যা তাদের রাশীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বুঝতে সহায়তা করে

ট্রান্স-সাইবেরিয়ান রেলপথে অভিযাত্রা

রাশিয়ার বিশাল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অতিক্রম করে চলা ট্রান্স-সাইবেরিয়ান রেলপথ একটি অসাধারণ অভিযাত্রা। এই যাত্রা দীর্ঘ এবং চমৎকার, যা যাত্রিকদের রাশিয়ার অসীমহীন প্রান্তর দেখার সুযোগ দেয়।

ট্রান্স-সাইবেরিয়ান রেলপথের কিছু অবিস্মরণীয় তথ্য:

  • ট্রেনযাত্রার দৈর্ঘ্য: প্রায় 9,289 কিলোমিটার
  • স্টেশনের সংখ্যা: 87টি
  • যাত্রার সময়কাল: প্রায় 7 দিন
  • অন্তরালে দাড়ানোর স্টেশন: প্রায় 4 ঘণ্টা

যাত্রার সময় যাত্রীরা রাশিয়ার সবুজ বনাঞ্চল, ষাট ধরণের গন্তব্যস্থল, পুরোনো শহর এবং প্রাচীন সংস্কৃতির ভাস্কর্য এবং স্থাপত্য দেখতে পাবেন। এটি একটি বিলক্ষণ অভিজ্ঞতা যা রাশিয়ার অকল্পনীয় সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ দেয়।

ট্রান্স-সাইবেরিয়ান রেলপথে অভিযাত্রা করা সর্বদাই রাশিয়া ভ্রমণের একটি অনন্য অভিজ্ঞতা। এই চমকপ্রদ এবং অসাধারণ যাত্রা যাত্রীদের মধ্যে একটি অনন্য স্মৃতি ছেড়ে যায়।

রাশিয়া ভ্রমণ অভিজ্ঞতা

রাশিয়া একটি অসাধারণ দেশ, যার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা অনেকের কাছে পরিচিত। এই দেশের দুর্দান্ত স্থাপত্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ধার্মিক প্রভাব অনেককে আকৃষ্ট করে। রাশিয়া ভ্রমণ একটি অদ্ভুত অভিজ্ঞতা, যা দীর্ঘকাল স্মরণীয় হয়ে থাকে।

রাশিয়ার 7 প্রধান আকর্ষণগুলি হল:

  • মস্কো এর ক্রেমলিন ও রেড স্কয়ার
  • সেন্ট পিটার্সবার্গের প্রাচীন ইতিহাস ও মায়াবী সৌন্দর্য
  • ট্রান্স-সাইবেরিয়ান রেলপথ যাত্রা
  • রাশীয় সংস্কৃতি ও প্রাচীন খাদ্য বৈচিত্র্য
  • কাজানের মুসলিম পরিবেশ ও স্থাপত্য
  • রাশীয় প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী
  • সহজ এবং বিস্তারিত ভ্রমণ পরামর্শ

এগুলি সবকটিই অসাধারণ এবং 7 ভ্রমণকারীর কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকে। প্রত্যেকটি স্থানই তার নিজস্ব অনন্য ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং অভিজ্ঞতা নিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করে।

রাশীয় ভ্রমণ অতিরিক্ত বিশেষত্ববিবরণ
অসংখ্য বৈচিত্র্যময় স্থাপত্যরাশিয়া এর প্রাচীন এবং আধুনিক স্থাপত্যগুলি অসাধারণ সৌন্দর্য এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ।
বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যরাশীয় সংস্কৃতি ঐতিহ্যের একক মিশ্রণ যা প্রাচীন রুশ, সভ্যতা এবং বর্তমান বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে।
বিস্ময়কর প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলীরাশিয়া দীর্ঘ এবং বিস্তৃত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে পরিচিত যা ভ্রমণকারীদের অভিভূত করে।

সমগ্র, রাশিয়া ভ্রমণ এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা যা 7 ভ্রমণকারীদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকে। প্রত্যেকটি গন্তব্যই তার নিজস্ব আকর্ষণ ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে মুগ্ধ করে।

রাশীয় সংস্কৃতি ও খাদ্য

রাশিয়া একটি বিস্তৃত ভূখণ্ড, যেখানে বিভিন্ন জাতি ও সংস্কৃতি মিলিত হয়। এই বৈচিত্য রাশিয়ান রান্নাকে অসাধারণ ও বৈচিত্যপূর্ণ করে তোলে। একদিনের শ্রম এবং গভীর শীতে উপাদান সংগ্রহের চেষ্টায় এই খাদ্যাভ্যাস তৈরি হয়।

রাশিয়ান রান্নায় স্পষ্টভাবে দেখা যায় এই আঞ্চলিক বৈচিত্র্য ও সাম্প্রদায়িক পরম্পরা। 8 টি খাদ্য পদার্থ রাশিয়ায় খুব জনপ্রিয়।

  • বর্শচ – বাটানো বাটা, ক্রিম এবং শাক-পাতার সমন্বয়ে তৈরি এই ঝোল বা স্যুপ রাশিয়ার সর্বাধিক জনপ্রিয় খাদ্যপদার্থগুলির একটি।
  • পেলিমেনি – মিট বা পনীর ভর্তি পাতলা ডুমপ্লিং, যা রাশিয়ার উদ্ভিদ ও সংস্কৃতির প্রতীকস্বরূপ।
  • শাশলিক – স্পিট রোস্টেড মিট, যা প্রায়ই চিড়ে চিড়ে খাওয়া হয় পার্টি এবং উৎসবের সময়।
  • ভোদকা – বিশ্বের গ্র্যান্ড ক্লাসিক পানীয়, যা রাশিয়ার অন্যতম পরিচয়ের প্রতীক।

এই গ্রহণযোগ্য ও বিস্ময়কর খাদ্যপদার্থগুলি রাশিয়ান সংস্কৃতি ও বৈশিষ্ট্যের একটি অভিন্ন অংশ। রাশিয়ায় যাওয়ার সময় এই অনন্য খাদ্যপদার্থগুলি উপভোগ করবেন।

কাজান: মুসলিম পরিবেশে রাশিয়া

রাশিয়ার একটি বিস্তৃত শহর হল কাজান। এটি একটি অনন্য মুসলিম সংস্কৃতির প্রতিফলন। এখানে সুন্দর স্থাপত্য, দর্শনীয় মসজিদ এবং বহুবিধ ইসলামিক প্রভাব দেখা যায়।

মুসলিম সংস্কৃতি ও স্থাপত্যের প্রভাব বিস্তারিত রাশীয় শহর কাজান দর্শন

কাজানে যাওয়া আমাদের মনকে অপার আনন্দে ভরে দেয়। এই শহরের স্থাপত্য এবং ধর্মীয় প্রভাব আমাদের মনকে জয় করে নিয়েছে। কাজানের টাটার মুসলিম ঐতিহ্য এবং সুন্দর মসজিদ আমাদের অবাক করে দিয়েছে।

কাজানের প্রধান আকর্ষণ হল কুল শারীফ মসজিদ। এটি রাশিয়ার সবচেয়ে বড় মসজিদগুলির একটি। এই মসজিদটি তার স্থাপত্য, রং এবং দৃশ্যাবলীর জন্য বিখ্যাত। এছাড়াও, কাজান ক্রেমলিন এবং সুয়াতো-Troitsky বিশ্ববিদ্যালয় দর্শন করা উল্লেখযোগ্য।

প্রধান আকর্ষণগুলিবর্ণনা
কুল শারীফ মসজিদরাশিয়ার সবচেয়ে বড় মসজিদ, স্থাপত্য, রং ও দৃশ্যাবলির জন্য বিখ্যাত
কাজান ক্রেমলিনকাজানের প্রধান অন্তর্গত প্রাসাদ, টাটার সংস্কৃতির বিষয়বস্তু দ্বারা প্রভাবিত
সুয়াতো-Troitsky বিশ্ববিদ্যালয়কাজানের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলাম ও রুশ সংস্কৃতির মিশ্রণ দেখা যায়

কাজান শহরের মুসলিম সংস্কৃতি ও স্থাপত্য রাশীয় সফরের আরেকটি অত্যন্ত বৈচিত্র্যময় ও আকর্ষণীয় অংশ। শহরটির অনন্য চরিত্র এবং সংস্কৃতিগত বৈচিত্র্য বাসিন্দাদের জীবনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে।

রাশীয় প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী

রাশিয়া একটি বিস্তৃত ও বৈচিত্র্যময় দেশ। এখানে প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী অত্যন্ত বিস্ময়কর। এই দেশের কিছু প্রধান দর্শনীয় স্থান হলো:

  • বাইকাল হ্রদ: এটি বিশ্বের গভীরতম হ্রদ। এখানে প্রাচীন সময় থেকে পর্যটকদের আকর্ষণ করে আসছে।
  • কামচাটকা প্রাকৃতিক অভয়ারণ্য: এখানে অমুন্ডু নামক সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বিশাল সক্রিয় আগ্নেয়গিরি।
  • সাখালিন দ্বীপ: এখানে সমুদ্র তীর, আগ্নেয়গিরি এবং দুর্দান্ত প্রাকৃতিক নজারা আছে।
  • ভ্যালি অফ জিয়াস্টার্স: এই অ্যালপাইন উপত্যকা অসাধারণ।

রাশিয়ার এই প্রাকৃতিক স্বর্গীয় দৃশ্যাবলী পর্যটকদের মন ছুঁয়ে যায়। এই অন্তম অনুপম দর্শনীয় স্থানগুলি রাশিয়া ভ্রমণে অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

স্থানবৈশিষ্ট্যপ্রবেশযোগ্যতা
বাইকাল হ্রদবিশ্বের গভীরতম হ্রদ, অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যবাস যোগাযোগ, নৌকা ভ্রমণ
কামচাটকা প্রাকৃতিক অভয়ারণ্যসক্রিয় আগ্নেয়গিরি, বন্য প্রাণী পর্যবেক্ষণবাস, রোপওয়ে, হাঁটুর ভ্রমণ
সাখালিন দ্বীপসমুদ্র তীর, আগ্নেয়গিরি, সুন্দর দৃশ্যাবলীবাস, নৌকা, বিমান
ভ্যালি অফ জিয়াস্টার্সঅ্যালপাইন উপত্যকা, বিস্ময়কর প্রাকৃতিক নজারাহাঁটুর ভ্রমণ, রোপওয়ে

এই অন্য প্রাকৃতিক দর্শনীয় স্থানগুলি রাশিয়া ভ্রমণের অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে। এই অন্য দেশের আসল রূপটি উপভোগ করতে সহায়তা করবে।

ভ্রমণ পরামর্শ

রাশিয়া ভ্রমণের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ আছে। এই 11টি পরামর্শ অনুসরণ করুন:

  1. সঠিক বিমান টিকিট নিশ্চিত করুন। সময়মত আগমনের জন্য সহজ জনহীন উপায় বেছে নিন।
  2. ভিসা প্রক্রিয়া শুরু করুন যথাসময়ে। রাশীয় ভিসা পেতে কিছু সময় লাগতে পারে।
  3. আপনার হোটেল বুকিং শেষ করুন। সহজ পরিবহন এবং নির্ভরযোগ্য ঠিকানা চয়ন করুন।
  4. গ্রাম্যাটিক্যাল তথ্য সংগ্রহ করুন। রাশীয় ভাষায় কিছু বেসিক কথা শিখে নিন।
  5. স্থানীয় মুদ্রা রুবেলে নগদ টাকা জোগাড় করুন। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পারেন।
  6. এক সপ্তাহের বেশি সময়ের জন্য সাদা ছবির পরিবর্তে রঙিন ছবি ব্যবহার করুন।
  7. যাত্রার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সাজিয়ে নিন। উপযুক্ত পোশাক, দ্রুত শক্তি, হাতের ধ্যান ইত্যাদি।
  8. যাত্রার আগে প্রাথমিক চিকিৎসা ও টিকাকরণ সম্পন্ন করুন।
  9. জরুরি স্বাস্থ্য বীমা পরিকল্পনা করুন। আবশ্যিক ট্রাভেল সাপোর্ট ব্যবস্থা নিন।
  10. ওয়েবসাইট এবং অভিজ্ঞ গাইড বাছাই করুন। আপনার পছন্দের অনুযায়ী ভ্রমণবৃত্তান্ত তৈরি করুন।
  11. 11 প্রশাসনিক কাজগুলি সম্পন্ন করুন এবং ভ্রমণে নিবিষ্ট হয়ে পড়ুন।

এই 11টি পরামর্শ অনুসরণ করে আপনি নিশ্চিতভাবে রাশিয়া ভ্রমণের প্রস্তুতি শেষ করতে পারবেন। নিরাপদ যাত্রা এবং আনন্দপূর্ণ অভিজ্ঞতার জন্য এগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুখকর ভ্রমণের জন্য শুভকামনা।

সমাপ্তি

এই অসাধারণ রাশিয়া ভ্রমণ অভিজ্ঞতা আমাদের জন্য একটি অনুলেখনীয় সফর ছিল। আমরা মস্কো, সেন্ট পিটার্সবার্গ এবং কাজান এর মাধ্যমে যাত্রা করে রাশিয়ার ধর্ম, সংস্কৃতি এবং প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী উপভোগ করেছি।

ক্রেমলিন, রেড স্কয়ার, ট্রান্স-সাইবেরিয়ান রেলপথ এবং বন্যা বনের মধ্য দিয়ে ভ্রমণ আমাদের অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা দিয়েছে। প্রত্যেকটি শহর এবং গন্তব্যস্থল রাশিয়ার স্বতন্ত্রতা, সংস্কৃতি এবং বৈচিত্র্য উপস্থাপন করেছে।

এই ভ্রমণের মাধ্যমে আমরা রাশিয়ার বিশ্বব্যাপী প্রভাবকে আরও ভালভাবে বুঝতে পেরেছি। আমরা এই অনুশীলনকে আরও গভীরভাবে অনুসরণ করে চলব এবং এই বৈশ্বিক শক্তির সাথে জড়িত থাকব।

FAQ

রাশিয়া ভ্রমণ অভিজ্ঞতা কীভাবে ছিল?

রাশিয়া ভ্রমণ এক অভিজ্ঞতা যা আমি কখনও ভুলতে পারব না। সকালে মস্কো বিমানবন্দরে অবতরণের সময় আমার সাথে ছিল দুই বাঙালি তরুণ – সুবোধ রায় ও অসিতবরণ দে। আমরা তিনজনে মিলে বিমানযাত্রার সময় মস্কো, প্রাগ ও কলকাতার বিষয়ে গল্প করতে থাকি।

মস্কো বিমানবন্দরে আপনি কী অভিজ্ঞতা লাভ করেছিলেন?

মস্কো বিমানবন্দরটি বিশাল, কিন্তু প্রায় নিঝুম। ইমিগ্রেশানকাস্টমস বেরিয়ার পার হওয়া মাত্রই একটি বাইশ-তেইশ বছরের ছিপছিপে যুবক সারগেই স্ট্রোকান আমার কাছে এসে পরিষ্কার ইংরিজিতে আমার নাম বলে জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি আমার জন্য এসেছিলেন এবং আমাকে সুবোধের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন।

সেন্ট পিটার্সবার্গের সৌন্দর্য কেমন ছিল?

সেন্ট পিটার্সবার্গের মায়াবী সৌন্দর্য মন ছুঁয়ে যায়। শহরটি দর্শনীয় প্রাসাদ, প্রাচীর, জাদুঘর ও বেষ্টনীর দ্বারা ঘেরা।

ক্রেমলিন ও রেড স্কয়ার পরিদর্শন কেমন ছিল?

মস্কোর অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ক্রেমলিন ও রেড স্কয়ার দর্শন অবিস্মরণীয় ছিল। ক্রেমলিন প্রাসাদের তুষার-শুভ্র গুম্বজ ও ভ্যানিশিং শ্রেণী কামনার উৎসাহ জাগায়। রেড স্কয়ার শহরমুখ্যের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু।

ট্রান্স-সাইবেরিয়ান রেলপথ প্রবাসে আপনি কী অভিজ্ঞতা লাভ করেছিলেন?

সীমাহীন রাশীয় প্রান্তর অতিক্রম করে ট্রেনযাত্রা এক অনেক অভিজ্ঞতা ছিল। রাশীয় গ্রামাঞ্চল ও প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী দেখে মন ভরে যায়।

রাশিয়ার সংস্কৃতি ও খাদ্য সম্পর্কে আপনার মতামত কী?

রাশিয়ার সংস্কৃতি ও খাদ্যপ্রণালী অনন্য। রাশীয় সাহিত্য, সঙ্গীত ও নৃত্য বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছে। খাদ্য হিসেবে বোরশ, ভরটেক, পেলমেনি বেশ জনপ্রিয়।

কাজান শহরে আপনি কী দেখতে পেয়েছিলেন?

কাজান মুসলিম সংস্কৃতি ও স্থাপত্যের প্রভাবে ভরপুর। কাজান জামি মসজিদ, কাজান ক্রেমল, কাজান ইউনিভার্সিটি সহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্য দিয়ে রাশীয় ও মুসলিম সমন্বয় ফুটে ওঠে।

রাশীয় প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী কেমন ছিল?

রাশিয়ার দীর্ঘ দূরত্ব, অগণিত শীতল ঝরনা, কাচ্ছা বনাঞ্চল মন ছুঁয়ে যায়। এক বিরাট, অদ্ভুত ও স্বজাতীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

রাশিয়া ভ্রমণে কোনো পরামর্শ দিতে চান?

রাশিয়া ভ্রমণে প্রচুর প্রস্তুতি নিতে হবে। বিশেষ করে ঠিক পোষাক ও উপকরণের ব্যবস্থা রাখা চাই। একাধিক রাশীয় শহর বা স্থান ভ্রমণ করলে তা সম্ভব হবে। বহুবিধ রাশীয় সংস্কৃতি, পয়স অথবা ভাষা শিখে মাতৃভাষার চেয়ে চিন্তা করতে শিখলে রাশিয়া ভ্রমণ আরও আনন্দদায়ক হবে।

মন্তব্য করুন